সূরা আল বাকারা – SURAH BAQARAH

বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অর্থ

০১। এ অক্ষরগুলো কুরআনের একটি মু’জিযা-যার প্রকৃত অর্থ একমাত্র আল্লাহই জানেন।

০২। এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মিত্তাকীদের জন্য হিদায়াত।

০৩। গায়েবের প্রতি ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।

৪। আর যারা ঈমান আনে তাতে, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল করা হয়েছে। আর আখিরাতের প্রতি তারা ইয়াকীন রাখে।

৫। তারা তাদের রবের পক্ষে থেকে হিদায়েতের উপর রয়েছে এবং তারাই সফলকাম।

৬। নিশ্চয় যারা কুফরী করেছে, তুমি তাদেরকে সতর্ক কর কিংবা না কর, উভয়ই তাদের বরাবর, তারা ঈমান আনবে না।

৭। আল্লাহ তাদের অন্তরে এবং তাদের কানে মোহর লাগিয়ে দিয়েছেন এবং তাদের চোখসমূহে রয়েহে পর্দা। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব।

৮। আর মানুষের মধ্যে কিছু এমন আছে, যারা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিনের প্রতি’ অথচ তারা মুমিন নয়। 

৯। তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এসেছে তাদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে। অথচ তারা নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা অনুধাবন করে না।

১০। তাদের অন্তরসমূহে রয়েছে ব্যাধি। সুতরাং আল্লাহ তাদের ব্যাধি বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব।

১১। আর যখন তোমাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা যমীনে ফাসাদ করো না’, তারা বলে, ‘আমরা তো কেবল সংশোধনকারী।

১২। জেনে রাখ, নিশ্চয় তারা ফাসাদকারী; কিন্তু তারা বুঝে না।

১৩। আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ঈমান আন যেমন লোকেরা ঈমান এনেছে’, তারা বলে, ‘আমরা কি ঈমান আনব যেমন নির্বোধরা ঈমান এসেছে’? জেনে রাখ, নিশ্চয় তারাই নির্বোধ; কিন্তু তারা জানে না।

১৪। আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এসেছি’ এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেমল উপহাসকারী।

১৫। আল্লাহ তাদের প্রতি উপহাস করেন এবং তাদেরকে তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরার অবকাশ দেন।

১৬। এরাই তারা, যারা হিদায়াতের বিনিময়ে পথভ্রষ্টতা ক্রয় করেছে। কিন্তু তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়নি এবং তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত ছিল না।

১৭। তাদের উপমা ঐ ব্যক্তির মত, যে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন আগুন তার চারপাশ আলোকিত করল, আল্লাহ তাদের আলো কেড়ে নিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন এমন অন্ধকার যে, তারা দেখছে না।

১৮। তারা বধির-মূক-অন্ধ। তাই তারা ফিরে আসবে না।

১৯। কিংবা আকাশের বর্ষণমুখর মেঘের ন্যায়, যাতে রয়েছে ধন অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎচমক। বজ্রের গর্জনে  তারা মৃত্যুর ভয়ে তাদের কানে অঙ্গুল দিয়ে রাখে। আর আল্লাহ কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে আছেন।

২০। বিদ্যুৎচমক তাদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়ার উপক্রম হয়। যখনই তা তাদের জন্য আলো দেয়, তারা তাতে চলতে থাকে। তার যখন তা তাদের উপর অন্ধকার করে দেয়, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আর আল্লাহ যদি চাইতেন, অবশ্যই তাদের শ্রবণ ও চোখসমূহ নিয়ে নিতেন। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

২১। হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর, যদি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।

২২। যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আসমানকে ছাদ এবং আসমান থেকে নাযিল করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর তাঁর মাধ্যমে উৎপন্ন করেছেন ফল-ফলাদি, তোমাদের জন্য রবরুস্বরূপ। সুতরাং তোমরা জেনে -বুঝে আল্লাহর জন্য সমকক্ষ নির্ধারণ করো না।

২৩। আর আমার বান্দার উপর যা নাযিল করেছি, যাদি তোমরা সে সম্পর্কে সন্দেহে থাক, তবে তোমরা তার মত একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাক্ষীসমূহকে ডাক; যদি তোমরা সত্যবাদী হও।

২৪। অতএব যদি তোমরা তা না কর- আর কখনো তোমরা তা করবে না- তাহলে আগুনকে ভয় কর যার জ্বালানী হবে মানুষ ও পাথর, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফিরদের জন্য।

২৫। যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তুমি তাদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ। যখনই তাদের জান্নাত থেকে কোন ফল খেতে দেয়া হবে, তারা বলবে, ‘এটাই তার পূর্বে আমাদেরকে খেতে দেয়া হয়ে ছিল’। আর তাদেরকে তা দেয়া হবে সাদৃশ্যপূর্ণ করে এবং তাদের জন্য তাতে থাকবে পবিত্র স্ত্রীগণ এবং তারা সেখানে হবে স্থায়ী।

২৬। নিশ্চয় আল্লাহ মশা কিংবা তার চেয়েও ছোট কিছুর উপমা দিতে লজ্জা করেন না। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে, নিশ্চয় তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য। আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, আল্লাহ এর মাধ্যমে উপমা দিয়ে কী চেয়েছেন? তিনি এ দিয়ে অনেককে পথভ্রষ্ট কএন এবং এ দিয়ে অনেককে হিদায়াত দেন। আর এর মাধ্যমে কেবল ফাসিকদেরকেই পথভ্রষ্ট করেন।

২৭। যারা আল্লাহর দৃঢকৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ যা জোড়া লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে এবং যামীনে ফাসাদ করে। তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।

২৮। কীভাবে তোমরা আল্লাহর সাথে কুফরী করছ অথচ তোমরা ছিলে মৃত? অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জীবিত করেছেন। এরপর তিনি তোমাদেরকে মৃত্যু দেবেন অতঃপর জীবিত করবেন। এরপর তাঁরই নিকট তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

২৯। তিনিই যমীনে যা আছে সন তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর আসমানের প্রতি খেয়াল করেছেন এবং তাকে সাত আসমানে সুবিন্যস্ত করলে। আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি সম্যক জ্ঞান।

৩০। আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘নিশ্চয় আমি যমীনে আকজন খলীফা সৃষ্টি করেছি’, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে তাতে ফাসাদ করবে এবং রক্ত প্রবাহিত করতে? আর আমরা ত আপনার প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করছি। এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি জানি যা তোমরা জান না।

৩১। আর তিনি আদমকে নামসমূহ সব শিক্ষা দিলেন তারপর তা ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। সুতরাং বললেন, ‘তোমরা আমাকে এগুলোর নাম জানাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’।

৩২। তারা বলল, ‘আপনি পবিত্র মহান। আপনি আমাদেরকে যা শিখিয়েছেন তা ছাড়া আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’।

৩৩। তিনি বললেন, ‘হে আদম, এগুলোর নাম তাদেরকে জানাও’। তিনি বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলিনি, নিশ্চয় আমি আসমানসমূহ ও যমীনের গায়েব জানি এবং জানি যা তোমরা প্রকাশ কর এবং যা তোমরা গোপন করতে’?

৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’। তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং আহষ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত।

৩৫। আর আমি বললাম, ‘হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং তা থেকে আহার কর স্বাচ্ছন্দ্যে, তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী এবং এই গাছটির নিকটবর্তী হয়ো না, তাহলে তোমরা যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

৩৬।

৩৭।

৩৮।

৩৯।

৪০।

৪১।

৪২।

৪৩।

৪৪।

৪৫।

৪৬।

৪৭।

৪৮।

৪৯।

৫০।

৫১।

৫২।

৫৩।

৫৪।

৫৫।

৫৬।

৫৭।

৫৮।

৫৯।

৬০।

৬১।

৬২।

৬৩।

৬৪।

৬৫।

৬৬।

৬৭।

৬৮।

৬৯।

৭০।

৭১।

৭২।

৭৩।

৭৪।

৭৫।

৭৬।

৭৭।

৭৮।

৭৯।

৮০।

৮১।

৮২।

৮৩।

৮৪।

৮৫।

৮৬।

৮৭।

৮৮।

৮৯।

৯০।

৯১।

৯২।

৯৩।

৯৪।

৯৫।

৯৬।

৯৭।

৯৮।

৯৯।

১০০।

১০১।

১০২।

১০৩।

১০৪।

১০৫।

১০৬।

১০৭।

১০৮।

১০৯।

১১০।

১১১।

১১২।

১১৩।

১১৪।

১১৫।

১১৬।

১১৭।

১১৮।

১১৯।

১২০।

১২১।

১২২।

১২৩।

১২৪।

১২৫।

১২৬।

১২৭।

১২৮।

১২৯।

১৩০।

১৩১।

১৩২।

১৩৩।

১৩৪।

১৩৫।

১৩৬।

১৩৭।

১৩৮।

১৩৯।

১৪০।

১৪১।

১৪২।

১৪৩।